নবজাতক

COVID-19 ও শিশু স্বাস্থ্য – 1

শতাব্দীর ভয়ঙ্করতম মহামারী বা অতিমারী দেখছে পৃথিবী। করোনা ভাইরাসের কবলে গোটা পৃথিবী। পৃথিবীর দোর্দণ্ডপ্রতাপ উন্নত দেশ গুলো করোনার কাছে আক্ষরিক অর্থে নতজানু।

আমাদের রাজ্য তথা দেশ লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। চালাচ্ছি আমরাও। আমরা সবাই। লড়াইটা অসম। অদৃশ্য এক ভয়ংকর ভাইরাসের সাথে সমগ্র মানুষের লড়াই।

ইতিমধ্যেই এই রোগটা নিয়ে আমাদের সবারই একটা ধারণা হয়ে গেছে। সরকারী প্রচার, যাবতীয় মিডিয়া, টিভি, রেডিও, খবরের কাগজ তো আছেই। তার সাথে আছে আর এক ভয়ানক যন্ত্র সোশ্যাল মিডিয়া। কি নেই সেখানে! সত্যি থেকে মিথ্যে, বিজ্ঞান থেকে কুসংস্কার, ভালই থেকে মন্দ সব রকমের নানাবিধ জ্ঞান আমরা সর্বদা পাচ্ছি। আসলে একটু বেশিই পাচ্ছি! মোদ্দা কথা টা হলো আমরা প্রায় প্রত্যেকে COVID-19 নিয়ে বেশ জ্ঞানী। তাই এই নিয়ে আর বেশি লেখালেখি প্রায় অর্থহীন।

আমি যেটা এখানে বলবো সেটা ঠিক COVID 19 নয়।

কিন্তু অবশ্যই সেটা সংক্রান্ত। ব্যাপারটা হলো এই যে COVID-19 রোগটা নিজে যত না সমস্যা করছে, তার চেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছে মানুষ COVID-19 প্রতিকারী নিয়মাবলীর জন্য। আসছে মাস্ক, স্যানিটাইজার এর বহুল ব্যবহার। ধুতে হচ্ছে হাত। তাও বার বার, কনুই পর্যন্ত ও ন্যূনতম 20 সেকেন্ড ধরে। কোনো কিছু স্পর্শ করা যাবেনা, করলেই আবার সেই নিয়ম। আর সবার ওপর আছে লকডাউন, যার সমস্যা ভাষায় প্রকাশ করা মুশকিল। এইসব শুধু ঝামেলাই নয়, বিরক্তিকর ও বটে। তার সাথে কষ্টকর। আমরা তো এযাবৎ এই রকম অভ্যস্ত ছিলাম না। কাজেই খুব অসুবিধা হচ্ছে।

এই রকম অবস্থায় বড়রা নিজেদের কষ্ট করে সামলে নিলেও, বাড়ির প্রতিটি শিশুকে সামলে, সুস্থ স্বাভাবিক রাখা বাবা-মায়ের কাছে একটা বড় চ্যালেঞ্জ।

এই চ্যালেঞ্জ টাকে সহজ করে দেয়াই এই লেখার উদ্দেশ্য।

কিভাবে বয়স অনুযায়ী বাড়ির শিশুকে এইসময় সুস্থ রাখবেন তা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।

প্রথমেই বলি চ্যালেঞ্জটা এখন আরও কঠিন বিবিধ কারণে। সাধারণ রোগের জন্য চিকিৎসা এখন পাওয়া বেশ কষ্টকর। যদিও বা পাওয়া যায়, নিজের মনমতো কাউকে পাওয়া যায়না। এক দু’বার পাওয়া গেলেও প্রতিবার পাওয়া যাওয়ার সম্ভাবনা প্রায় অসম্ভব। পাওয়া গেলেও, সেটা নিতে যাওয়া আবার বেশ কঠিন। একটা সাধারণ রোগ সারাতে গিয়ে অন্য একটা রোগ না বাধিয়ে আসি, এই চিন্তা সর্বদা মনের কোণে বাস করে।

শিশুদের নিয়ে সমস্যা হলো, রোগ সাধারণ ও সামান্য হলেও, বড়দের মতো অপেক্ষা করা যায়না। উচিত নয়, বলা বাহুল্য।

তাহলে উপায়?

সেটাই বলবো।

লেখার কলেবর বৃদ্ধির ভয়ে আজ শুধু এই COVID সময়ের স্বাভাবিক নবজাতকের কথা বলি। পর পর সব বাচ্চা নিয়েই আলোচনা করবো। কেমন।

আপনারা নিজ নিজ শিশুর বয়স অনুযায়ী নির্দিষ্ট অধ্যায় পড়তে পারেন। তবে পড়লে জ্ঞান কখনো ফেলা যায়না।  আপনার জ্ঞান আপনার নিকট কারোর প্রয়োজনে আস্তে পারে।

নবজাতকের পরিচর্যা COVID-19 pandemic এর সময়:

প্রথমে বলবো স্বাভাবিক নবজাতক অর্থাৎ যে সময়ের বেশি আগে হয়নি বা জন্ম ওজন 2.5 কেজির কম নয়, তাদের কথা। জন্ম থেকে 28 দিন পর্যন্ত বয়স্কাল সময়কে নবজাতক বলা হয়। এই সময়কাল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন। শিশুমৃত্যুর হার এই সময়কালে সর্বাধিক। তাই খুব গুরুত্ব সহকারে শিশুর দেখভাল করা উচিত।

জন্মের টীকা গুরুত্বপূর্ণ। BCG, ওরাল পোলিও দিতেই হবে। সাথে হেপাটাইটিস-B পাওয়া গেলে ভালো। তবে না পাওয়া গেলে এর জন্য অযথা ছোটাছুটি না করলেও চলবে। জন্মের টীকা জন্মের সাথে সাথেই বা 24 ঘন্টার মধ্যেই দিতে হবেই এমন একটা ধারণা আছে। ধারণা পুরোটা ঠিক নয়। দিতে পারলে ভালো। কিন্তু 3 দিন অবধি দিলেও  তাকে জন্ম ডোজ বলা হয়। এমনকি কোনো কারণে দেওয়া না গেলে, প্রথম যখনই সময় পাওয়া যায় দেওয়া যায়, যেমন 7 দিনের মধ্যে দিলেও চলে। তার পরেও দেয়া যায়, চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে। তবে কোনো টীকার জন্মডোজ 7 দিনের মধ্যে দেওয়া না গেলে, আর না দিয়ে একদম 6 সপ্তাহ বয়সে অন্যান্য টীকার ডোজের সাথেই দিয়ে দেয়া হয়।

জানি আপনাদের অনেক প্রশ্ন থেকে গেল। চিন্তা নেই। শুধুমাত্র টিকাকরণ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা অন্যস্থানে করা আছে/ হবে।

এই সময় শিশুকে গরম রাখতে সাধারণত বলা হয়। যেন শিশু ঠান্ডা না হয়ে যায়। কিন্তু এই গরম কালে ঘাম হয়ে ঠান্ডা লেগে যাওয়ার সম্ভাবনা আরও বেশি। তাই মশারির ওপর কাপড় দিয়ে হালকা করে ফ্যান চালানো যেতে পারে। অথবা ফ্যানের থেকে একটু দূরে বিছানায় শোয়ানো উচিত। আবহাওয়া বুঝে একদিন অন্তর স্নান করানো ভালো। সাবান, তেল স্যাম্পু দিতে নেই। এমনকি ঘানির খাঁটি সর্ষের তেলও নয়। এগুলো রোগ বাড়ায় বই কমায় না।

এই সময় শিশুর গায়ে নানাবিধ rash বেরোয়। বেশির ভাগই স্বাভাবিক হয়। প্রায় কোনো চিকিৎসা লাগেনা। অনেকেই পাউডার লাগান। কিন্তু না লাগালেও নিজে নিজেই ভালো হয়ে যায়। আর একপ্রকার rash হয়। nappy rash বলে। nappy যেখানে পরানো হয়, সেই জায়গায় হয়। সেখানে পাউডার, মূলত আন্টি ফাঙ্গাল পাউডার লাগালে ও শুকনো রাখলে তাড়াতাড়ি ভাল হয়। কাজেই এই সব হলে ডাক্তারের কাছে যাওয়ার দরকার নেই। বাড়িতেই থাকুন। তবে যদি সাদা উঁচু অনেকগুলি পুঁজ যুক্ত কিছু বেরোয়, যেমন কুঁচকিতে, বগলে, গলায় তবে সেগুলির চিকিৎসা দরকার। এন্টিবায়োটিক মলম সোডিয়াম ফেউসিডেট বা মিউপিরসিন মলম দিলে ভালো কাজ হয়। খুব বেশি হলে কিন্তু চিকিৎসককের পরামর্শ দরকার।

শিশুর খাওয়ার ব্যাপার টা গুরুত্বপূর্ণ। এই বয়সের শিশুরা 6 মাস পর্যন্ত শুধু এবং শুধুমাত্র বুকের দুধ খাবে।

নরমাল ডেলিভারিতে বিশেষ সমস্যা না হলেও সিজার হলে প্রথম 2- 3 দিন মায়ের দুধ আস্তে একটু দেরি হতে পারে। যেহেতু সেই সময় মা ও বাচ্চা হাসপাতাল বা নার্সিং হোমেই থাকে, চিন্তার কিছু নেই। বাচ্চার অসুবিধা হচ্ছে কিনা সেটা ডাক্তারবাবু বা নার্স দিদিমনিরাই দেখতে পারবেন।

বাবা মা অনেক সময়ই সচেতন হলেও, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দাদু, ঠাকুমা, দিদিমা, পিসিমা, মাসিমার অতি স্নেহের ফলে, বাইরের দুধ খাওয়ানোর একটা প্রবণতা দেখা যায়। দয়া করে বাইরের কিছু খাওয়াবেন না। শুধু জল, গরম জল, চিনি জল, মিছড়ির জল, মধু, চাক ভাঙা খাঁটি মধু এই সব গুলোই নবজাতকের কাছে বিষ সমান। এড়িয়ে চলুন।

প্রথমের দিকে মায়ের স্তন টিপলেও দুধ বেরোতে দেখা নাও যেতে পারে। বাচ্চা টানলে ঠিকই পায়। অল্প পায়, কিন্তু পায়। এবং সেটা তার জন্য যথেষ্ট। দুধ একদম নেই কথাটা ঠিক নয়। চোখে দেখা না গেলেই যে নেই, তা নয়। সেটার প্রমান এই কোরোনা ভাইরাস!!

প্রথম যে ঘোলা রঙের চিটচিটে অল্প অল্প দুধ আসে সেটা বাচ্চার জন্য অমৃত সমান। ওটা অবহেলা করবেন না। ওটাকে colostrum বলে, যা কিনা বাচ্চার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

যত কম বাচ্চার খাওয়া খাওয়া করবেন, তত বাচ্চা ভালো থাকবে। যত কম বাচ্চাকে আদর করবেন তত বাচ্চা ভালো থাকবে। বাচ্চা নিজেই খিদে পেলে খেয়ে নেবে। ঈশ্বর ওকে সেই শক্তি দিয়েই পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন।

এক কথায় যত্ন করুন, বেশি যত্ন নয়!! ওকে ওর মতো থাকতে দিন। প্রকৃতির নিয়ম ভাঙবেন না। ডাক্তারের দরকার কম পড়বে।

বাবা মা বা বাড়ির সবার আর একটা চিন্তার কারণ হলো কান্না। বাচ্চা কাঁদছে!!

একটু ভাবুন। ও কি কি করতে পারে। প্রায় কিছুই পারেনা।

পারে বলতে দুধ টেনে খেতে, মলমূত্র ত্যাগ করতে আর কাঁদতে। কেন কাঁদে? কারণ ও যে কিছুই পারেনা। খিদে পেলে, গরম লাগলে, ঠান্ডা লাগলে, ব্যাথা লাগলে, চুলকালে, ঘুম পেলে, ঘুম না পেলে, বিছানা পছন্দ না হলে, অন্ধকার হলে, বেশি আলো হলে, কেউ কথা না বললে, সবাই খুব চেঁচামেচি করলে, মায়ের গায়ের গন্ধ আর গলার স্বর না পেলে, পেটে ব্যাথা হলে, নাক বন্ধ হয়ে গেলে, এমনকি মলমূত্রের বেগ আসলেও ও কিছু বুঝতে পারেনা, কিন্তু একটা অস্বস্তি হয়। তাই বলতেও পারেনা, বুঝতেও পারেনা।

যেটা পারে সেটাই করে। কান্না। আর আপনি সেটাতেই বিরক্ত!! মূত্র ত্যাগের আগেও বাচ্ছা কেঁদে উঠতে পারে। ভয় নেই। আর সব কান্না মানেই খিদে নয়, নিশ্চই বুঝেছেন। এবার বাচ্চা কাঁদলেই কৌটোর দুধ আনবেন না।

কিন্তু কিছু কান্না সত্যিই ভয়ের না হলেও বিরক্তির কারণ হয় বৈকি। যেমন infantile colic বা সন্ধের দিকে বা অন্য সময়েও একটানা বাচ্চার কান্না।

পেটের ব্যাথা। এটা বেশির ভাগ শিশুরই 5 মাস পর্যন্ত হতে পারে। কিছু ওষুধ আছে। ডাক্তারবাবুর কাছ থেকে জেনে নিন। তবে উপকার খুব বেশি হয়না, আবার ভয়েরও কিছু নেই। সময়। শুধু সময়ের সাথে সাথে কমবে। কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি যেমন বুকের ওপর উপুড় করে রেখে পিঠে হালকা করে ঢেকুর তোলানোর মতো করে চাপড় দিলে বাচ্চা আরাম পায়। পেটে একটু হালকা চাপ পড়ে। হালকা সুরের কোনো গান হোলে বাচ্চারা উপভোগ করে। পেট ব্যথার কান্নাও কমে।

শুধুমাত্র বাচ্চার কান্না, পেট ব্যাথা ইত্যাদি নিয়ে আরো বিস্তারিত আলোচনা পরে করা হবে।

আচ্ছা একটা প্রশ্ন আসতেই পারে, কি করে বুঝবো যে বাচ্চাটা ঠিকঠাক আছে? কয়েকটি জিনিস মাত্র মাথায় রাখুন।

বাচ্চা দুধ নিজে টেনে খাচ্ছে। দিনে ন্যূনতম 24 ঘন্টায় 6-8 বার মূত্র ত্যাগ করেছে (বাস্তবে 15-16 বার করবে)। 3-4 বার নরম পাতলা পায়খানা করছে, বা দু’তিন দিনেও একবার করতে পারে। কিন্তু মল সাধারণত পাতলা বা নরমই হয়। একবার খেলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে 2 ঘন্টার মতো ঘুমোচ্ছে আর নিয়মিত ওজন বাড়ছে। কতটা? প্রথম 10 দিন ওজন বাড়া-কমা হবে, কিন্তু 10 দিন বয়েসে ওজন আবার সেই জন্মের ওজনেই ফিরে যাবে। মানে জন্মের ওজন ও 10 দিন বয়সের ওজন সমান। এবার ধরুন, 11দিন বয়েস থেকে, মোটামুটি 200 গ্রাম প্রতি সপ্তাহে বাড়বে।

যদিও এটা অতিসরলীকরণ হলো। তাও একটু ধারণা দেয়ার জন্য জানালাম। যাইহোক, যদি এগুলি সব ঠিকঠাক চলে তো আপনার শিশুও ঠিকই আছে। আপনার কাজ মোটামুটি শেষ।

আর একটা সমস্যা হয়। নাক বন্ধ হয়ে যায়। ফলে একটা ঘড়ঘরে আওয়াজ হয় নাকে। কিন্তু কাশি হয়না। শ্বাসের গতিও স্বাভাবিক থাকে। (শ্বাস-প্রশ্বাসের গতি সর্বদা 60 এর নিচে থাকা উচিত। 61 হয়ে গেলেও চিকিৎসকের পরামর্শ দ্রুত নেয়া উচিত)।

যেটা বলছিলাম, শুধুমাত্র নাক বন্ধ হওয়ার জন্য যে সমস্যাটা হয় সেটা কে খুব সহজেই বারবার নাকে নরমাল স্যালাইন নাকের ড্রপ দিয়ে বাচ্চাকে ভালো রাখা যায়।

আলাদা করে শিশুর কফ-কাশি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা পরে অবশ্যই করা হবে।

আর একটা সাধারণ বিষয় কিন্তু ভয় পেয়ে এই lockdown এও বেরিয়ে পরতে পারেন। সেটা হোলো মেয়ে বাচ্চা হলে 3 দিন বয়েসের আশেপাশে, মাসিকের দ্বার দিয়ে মাসিকের মত রক্ত বেরোতে দেখতে পারেন। ভয় নেই। 3-4 দিনের মধ্যে নিজে নিজেই বন্ধ হে যাবে। বেশি দিন, বা খুব বেশি পরিমানে হলে ডাক্তারবাবুর পরামর্শ নিন।

নাভি নিয়ে পরে বিস্তারিত কোনো একদিন বলব। আজ শুধু বলি। নাভির যত্ন মানে, কিছুই করবেনা। মানে, কিছুই লাগাবেন না, যদি কোনো অসুবিধা না থাকে। এমনিই খসে পড়ে যাবে।

নবজাতকের প্রতিটি ছোটখাটো খুঁটিনাটি বিষয় পরবর্তী পোস্ট গুলিতে নিয়মিত আসতে থাকবে।

এটা অতি সংক্ষেপে হলো। তাও হলো শুধু COVID outbreak এর সময় স্বাভাবিক নবজাতকের কিছু পরিচর্যা। আর যারা সময়ের আগে হয়ে গেছে (Pre Term) বা খুবই ছোট (Low Birth Weight)। তাদের কি হবে? অন্য বড় বাচ্চারা যে এই বাজারে খিটখিটে হয়ে গেছে। কিছুই খেতেও চায়না। তাদের কি হবে?

বলবো বলবো। সব বলবো। পরের পোস্ট গুলোতে চোখ রাখুন।

আজ এই পর্যন্তই।

এতটা যে পড়েছেন, তার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

আর হ্যাঁ… আপনার মূল্যবান মতামত দিতে ভুলবেন না কিন্তু।

One Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *